প্ভিউ ইটিসি  | বাংলা নিউজ পেপার
বুধবার , ২৮ আগস্ট ২০২৪ | ৮ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. অপরাধ
  2. আন্তর্জাতিক
  3. আন্দোলন
  4. আরব নিউজ
  5. ইসলাম
  6. ক্রিকেট
  7. খেলাধুলা
  8. চাকরি
  9. জয়পুরহাট
  10. জাতীয়
  11. জেলার খবর
  12. তথ্যপ্রযুক্তি
  13. পরামর্শ
  14. প্রবাস
  15. ফুটবল

যুক্তরাজ্য বাংলাদেশের ব্যাংকিং ও রাজস্ব খাতের সংস্কারে সহায়তা করতে আগ্রহী

প্রতিবেদক
ভিউ ইটিসি
আগস্ট ২৮, ২০২৪ ৮:৫৯ অপরাহ্ণ
যুক্তরাজ্য বাংলাদেশের ব্যাংকিং ও রাজস্ব খাতের সংস্কারে সহায়তা করতে আগ্রহী

যুক্তরাজ্য বাংলাদেশের ব্যাংকিং ও রাজস্ব খাতের সংস্কারে সহায়তা করতে আগ্রহী

যুক্তরাজ্য বাংলাদেশকে ব্যাংকিং ও রাজস্ব খাতের সংস্কারের পাশাপাশি পুঁজিবাজারে সহায়তা করতে গভীর আগ্রহ প্রকাশ করেছে।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অর্থ উপদেষ্টা ড. বাংলাদেশে নিযুক্ত ব্রিটিশ হাইকমিশনার সারাহ কুক আজ তার অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) কার্যালয়ে সালেহ উদ্দিন আহমেদের সঙ্গে দেখা করতে এসে এই আগ্রহ প্রকাশ করেন।
বৈঠক শেষে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, যুক্তরাজ্য বাংলাদেশের ব্যাংকিং, রাজস্ব ও পুঁজিবাজারের মতো খাতে সংস্কারে সহায়তা করতে ইচ্ছুক।
বৈঠকের পর তিনি সাংবাদিকদের বলেন, “এগুলো আমাদের জন্যও তাৎক্ষণিক উদ্বেগের বিষয়। কারণ, আমরা যদি সেসব সংস্কার না করি, তাহলে আমাদের জন্য কঠিন হবে।
উপদেষ্টা বলেন, দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য বাড়ানো নিয়েও আলোচনা হয়েছে।
তিনি বলেন, আমরা ব্যবসার উন্নতি চাই। যুক্তরাজ্য সরকার অতীতে অনেক সহায়তা করেছে এবং আমি আশা করি তারা ভবিষ্যতেও সমর্থন অব্যাহত রাখবে। আমরা তাদের সাহায্য ও সহযোগিতার জন্য উন্মুখ।
অর্থ উপদেষ্টা ও ব্রিটিশ রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশ ও যুক্তরাজ্যের মধ্যে সহযোগিতা নিয়ে আলোচনা ও আলোচনা করেন।
যুক্তরাজ্য মূলত অর্থনৈতিক উন্নয়ন এবং নারীর ক্ষমতায়ন নিয়ে কাজ করছে। সালেহ উদ্দিন আরও বলেন, ‘আমরা এগুলো চালিয়ে যাব। বেসরকারি খাতে বিনিয়োগও খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ব্রিটেনের বড় বড় ব্যবসায়ীরা এখানে বিনিয়োগ করেছে।
উপদেষ্টা বলেন, তিনি বাংলাদেশ থেকে আমদানিকৃত পণ্যে বৈচিত্র্য আনতে বলেছেন। কারণ, তার দেশ মূলত যুক্তরাজ্য ও ইউরোপের দেশগুলোতে আরএমজি পণ্য রপ্তানি করে।
তিনি আরও বলেন, বেসরকারি বিনিয়োগ আকৃষ্ট করতে বাংলাদেশের ব্যবসার পরিবেশ উন্নত করতে হবে।
তিনি বলেন, এর জন্য শর্ত হলো ‘ব্যবসায়িক পরিবেশ তৈরি করতে হবে, ব্যবসা সহজ করতে হবে অর্থাৎ ব্যবসার পরিবেশ ঠিক করতে হবে। তা না হলে বেসরকারি খাত আসবে না।
আলোচনা অত্যন্ত ফলপ্রসূ হয়েছে উল্লেখ করে ব্রিটিশ হাইকমিশনার বলেন, যুক্তরাজ্য ও বাংলাদেশের মধ্যে অত্যন্ত শক্তিশালী অর্থনৈতিক, বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্পর্ক রয়েছে।
ব্রিটিশ হাইকমিশনার বলেন, ‘আমরা আমাদের বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্পর্ক সম্প্রসারণে অত্যন্ত আগ্রহী এবং যুক্তরাজ্য কীভাবে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সংস্কারে সহায়তা করতে পারে তা নিয়ে আলোচনা করেছি। আমরা কীভাবে অর্থনৈতিক সংস্কারের বিষয়ে আমাদের বিশেষজ্ঞদের সাথে যৌথভাবে কাজ করতে পারি, কীভাবে আমরা দুই দেশের মধ্যে আমাদের বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্পর্ক বাড়াতে পারি সে বিষয়ে আলোচনা করেছি।’
যুক্তরাজ্য থেকে আরও বেশি প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগ আনার বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বাংলাদেশের সঙ্গে যুক্তরাজ্যের অত্যন্ত শক্তিশালী অংশীদারিত্ব রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের খুব শক্তিশালী বিনিয়োগের পরিবেশ রয়েছে। অবশ্যই, আমরা বাংলাদেশে আরও সরাসরি বিদেশী বিনিয়োগ দেখতে চাই।’
ব্রিটিশ বিনিয়োগকারীরা নিশ্চিতভাবে দায়িত্বশীল বিনিয়োগকারী বলে উল্লেখ করে রাষ্ট্রদূত বলেন, “আমি উপদেষ্টার সাথে আলোচনা করেছি কিভাবে আমরা বিনিয়োগকারীদের আস্থা তৈরি করতে পারি এবং আমাদের বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্পর্ক জোরদার করতে পারি।”
অন্য এক প্রশ্নের জবাবে সারা কুক বলেন, বাংলাদেশ যে অর্থনৈতিক সংস্কারকে অগ্রাধিকার দিচ্ছে এবং যুক্তরাজ্য এক্ষেত্রে বাংলাদেশকে কীভাবে সাহায্য করতে পারে সে বিষয়েও তিনি আলোচনা করেছেন। (খাদ)

সর্বশেষ - ক্রিকেট

আপনার জন্য নির্বাচিত