অন্তর্বর্তী সরকার ব্যর্থ হলে দেশের মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হবে: নুরুল হক
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সাফল্যের ওপর দেশের ভবিষ্যৎ নির্ভর করছে বলে মন্তব্য করেছেন গণঅধিকার পরিষদের (একাংশ) সভাপতি নুরুল হক। তিনি বলেন, এই সরকার সফল হলে দেশের মানুষের জন্য ভালো হবে। আর তা ব্যর্থ হলে দেশের মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হবে। তাই সরকারকে সফল করতে সবাইকে সহযোগিতা করতে হবে।
নুরুল হক ‘দেশে বেকারত্বের মহামারী নিরসনে অন্তর্বর্তী সরকারকে বাংলাদেশ যুব অধিকার পরিষদের সাত দফা সুপারিশ’ শীর্ষক আলোচনা সভায় এ কথা বলেন। রোববার বিকেলে রাজধানীর বিজয়নগর এলাকায় গণঅধিকার পরিষদের কার্যালয়ে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
অন্তর্বর্তী সরকার ব্যর্থ হলে দেশের মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হবে: নুরুল হক দেশে বেকারত্ব মহামারি নিরসনে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে বাংলাদেশ যুব অধিকার পরিষদের সাত দফা প্রস্তাবনা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় গণ অধিকার পরিষদের (একাংশ) সভাপতি নুরুল হক। আজ রোববার দুপুরে রাজধানীর বিজয়নগর এলাকায় গণ অধিকার পরিষদের কার্যালয়ে
বৈঠকে নুরুল হক বলেন, শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে পালিয়ে গেলেও তার বন্ধুরা এখনো সক্রিয়। তারা গোপালগঞ্জে খুন করেছে। নুরুল হক গোপালগঞ্জ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের এক সপ্তাহের মধ্যে গ্রেপ্তারের দাবি জানান। না হলে সেখানে প্রশাসনে চাকরি থাকবে না বলেও হুঁশিয়ারি দেন তিনি।
নুরুল হক বলেন, গোপালগঞ্জের সন্ত্রাসীরা সংগঠিত হয়ে সেনাবাহিনীর ওপর হামলা করেছে, এটা লজ্জাজনক। তিনি বলেন, শৃঙ্খলাবদ্ধ না হলে ভবিষ্যতে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।
আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসন করে রাষ্ট্রের সংস্কার সম্ভব নয় মন্তব্য করে গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান বলেন, ইতোমধ্যে সর্বত্র বিশৃঙ্খলা শুরু হয়েছে। রাষ্ট্র স্থবির হয়ে পড়েছে। রাষ্ট্র সংস্কার করতে হলে সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টা প্রয়োজন। কিন্তু কাজে অনীহা আছে রাজনৈতিক দলগুলোকে। রাজনৈতিক দলকে দূরে রেখে রাষ্ট্র সংস্কার করতে পারবেন?
বাংলাদেশ যুব অধিকার পরিষদের সভাপতি মঞ্জুর মোর্শেদ মামুন বলেন, এই সাত দফা প্রস্তাব তরুণদের মুক্তির লক্ষ্যে একটি অবিসংবাদিত প্রস্তাব। সরকার অবিলম্বে এসব প্রস্তাব বিবেচনায় নেবে, অন্যথায় সারাদেশে তরুণদের মধ্যে জনমত তৈরি হবে। ২০ সেপ্টেম্বর সারাদেশে মানববন্ধন ও ২২ সেপ্টেম্বর জেলা প্রশাসকের কাছে স্মারকলিপি দেওয়া হবে।
বাংলাদেশ যুব অধিকার পরিষদের সাত দফার মধ্যে সব ধরনের বৈষম্যমুক্ত চাকরি ও কর্মসংস্থানকে মৌলিক অধিকার হিসেবে সাংবিধানিক স্বীকৃতি ও বাস্তবায়নের জন্য অগ্রাধিকার দিতে হবে। প্রতি বছর নিয়মিত বেকারত্ব জরিপ প্রতিবেদন আকারে প্রকাশ করতে হবে। শিক্ষার সকল স্তরে চাহিদাভিত্তিক ও কর্মমুখী শিক্ষা ব্যবস্থা প্রণয়ন ও বাস্তবায়নকে অগ্রাধিকার দিতে হবে। তরুণদের আইসিটি খাতে দক্ষ করে তুলতে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে। সব ধরনের চাকরির আবেদন ফি, অবৈধ সুপারিশ, যে কোনো নিরাপত্তা এবং বয়সসীমা মুক্ত হতে হবে। ঘুষ ও দুর্নীতির মতো সব অন্যায় নিয়োগ প্রক্রিয়া বন্ধ করতে হবে এবং সরকারি ও বেসরকারি চাকরিতে বৈষম্যের অবসান ঘটাতে হবে।