ত্বক ও চুল পুনরুদ্ধার করবে কুমড়োর বীজের তেল!
মিষ্টি কুমড়া যেমন সুস্বাদু, এর বীজও তেমনই উপকারী। কুমড়া তোলার সময় আমরা সাধারণত বীজ ফেলে দেই। কিন্তু, এই বীজের তেল ত্বক ও চুলের স্বাস্থ্যের জন্য খুবই ভালো। এতে রয়েছে ভিটামিন ই, সি, জিঙ্ক, সেলেনিয়াম, ফ্যাটি অ্যাসিড, যা ত্বককে সতেজ রাখে। অকাল বার্ধক্যের লক্ষণ দেখায় না। তাই জেনে নিন এই উপকারী তেল তৈরি ও ব্যবহার করার পদ্ধতি।
কিভাবে তৈরী করে?
কুমড়া কাটার সময় বীজ বের করে নিন। বীজ না ধুয়ে শুকিয়ে নিতে হবে। তবে রোদে রাখতে ভুলবেন না। বীজ শুকিয়ে গেলে এর সাথে আরেকটি তেল মেশাতে হবে। অন্য একটি পাত্রে অলিভ অয়েল নিয়ে তাতে বীজ ফেলে দিন। অলিভ অয়েল বীজের পরিমাণ অনুযায়ী নিতে হবে। এবার আঁচ কমিয়ে জ্বাল দিতে থাকুন। ঢাকনা দিয়ে ঢেকে অল্প আঁচে রান্না করুন। তেল ফুটে উঠলে ছেঁকে নিন।
কীভাবে মুখে লাগাবেন?
কুমড়ার বীজের তেল ময়েশ্চারাইজার হিসেবে ব্যবহার করা যেতে পারে। এটি যেকোনো ধরনের ত্বকের জন্য উপকারী। আধা কাপ কুমড়োর বীজের তেলের সাথে আধা কাপ গোলাপ জল মিশিয়ে মুখে লাগান। এবার এতে গ্লিসারিন দিন। শুধুমাত্র বিশুদ্ধ গ্লিসারিন মেশানো উচিত। এই মিশ্রণটি শিশিতে ঢেলে দিন। প্রতিদিন রাতে ঘুমানোর আগে ত্বকে ভালো করে লাগালে সব দাগ দূর হয়ে যাবে। ত্বক ফিরে আসবে। ত্বক হবে কোমল ও মসৃণ।
এছাড়াও আপনি পাকা কলা এবং মধুর মিশ্রণে কুমড়ার বীজের তেল মিশিয়ে মুখে লাগাতে পারেন। এটি রোদে পোড়া ভাব দূর করবে।
চুলের জন্য
চুলের জন্য কুমড়ার বীজের তেলও তৈরি করতে পারেন। তবে সেক্ষেত্রে অলিভ অয়েলের পরিবর্তে বীজ তিলের তেলে সেদ্ধ করতে হবে। পদ্ধতি একই। এই তেলটি কাচের পাত্রে অনেকক্ষণ রাখতে পারেন। এটি প্রতিদিন মাথায় লাগালে চুল পড়ার সমস্যা দূর হবে। খুশকির সমস্যা থাকবে না।