সায়েদাবাদ থেকে ছেড়ে যাওয়া বাসে যাত্রী তুলনামূলক কম
ঢাকার সয়দাবাদ আন্তজেলা বাস টার্মিনাল থেকে ঢাকা, চট্টগ্রাম, বরিশাল ও সিলেট অঞ্চলে বাস ছেড়ে যায়। আজ বুধবার সকাল থেকে দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে যাচ্ছে এসব বাস। তবে যাত্রীর সংখ্যা তুলনামূলক কম।
সয়দাবাদ বাস টার্মিনালে কথা হয় ছাত্র সালমান আহমেদের সঙ্গে। তিনি মিরপুরের বাসিন্দা। ঢাকায় ক্লাস বন্ধ এবং থাকা-খাওয়ার সমস্যার কারণে নিজ বাড়িতে যাচ্ছেন শ্রীমঙ্গলে। কয়েকদিন বাস চলাচল বন্ধ থাকায় বাড়ি যেতে পারছেন না বলে জানান তিনি।
হানিফ এন্টারপ্রাইজের ব্যবস্থাপক মো. আব্দুল আলীম ভিউইটিসিকে বলেন, “সকাল থেকে তিনটি বাস ছেড়েছে। এর মধ্যে দুটি বাস ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম এবং একটি বাস ঢাকা থেকে বরিশালে গেছে।
আব্দুল আলীম জানান, সকাল নয়টা থেকে বাস ছাড়াই শুরু হয়। বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত বাস চলবে বলেও জানান তিনি।
ঢাকা থেকে কুমিল্লা থেকে লাকসামগামী তিশা পরিবহনের সুপারভাইজার মো. শান্ত বলেন, সকাল ৬টা থেকে বাস চলছে। ১০টা পর্যন্ত ৫টি বাস ছেড়েছে। যাত্রী আছে। কিন্তু কম।
সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে গত সপ্তাহে দেশজুড়ে বিক্ষোভ ও সংঘর্ষ শুরু হয়। বিভিন্ন স্থানে হামলা, ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনাও ঘটেছে। এসব ঘটনায় মঙ্গলবার পর্যন্ত ১৯৭ জন প্রাণ হারিয়েছেন।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে বিজিবিসহ নিয়মিত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। একপর্যায়ে গত শুক্রবার মধ্যরাত ১২টা থেকে সারাদেশে কারফিউ জারি করে সরকার। একই দিনে বেসামরিক প্রশাসনকে সহায়তা করতে সশস্ত্র বাহিনী মোতায়েন করার সিদ্ধান্ত হয়। সেনাবাহিনী এখনও বেসামরিক প্রশাসনকে সহায়তা করছে। প্রথম দিনে দুই ঘণ্টা বিরতি দিয়ে শুরু হয় কারফিউ। পরদিন তিন ঘণ্টা বিরতি দেওয়া হয়। গতকাল ঢাকা, গাজীপুর, নরসিংদী ও নারায়ণগঞ্জে চার ঘণ্টা বিরতি দেওয়া হয়। যদিও এই বিরতি কমবেশি সারা দেশে জেলা জুড়ে।
আজ থেকে চার ঘণ্টা সরকারি-বেসরকারি অফিস খোলা হচ্ছে। আজ থেকে খুলেছে রপ্তানিমুখী পোশাক কারখানাও। সীমিত পরিসরে পরীক্ষামূলক ভিত্তিতে ইন্টারনেট চালু করা হয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় আজ থেকে দূরপাল্লার বাস চলাচলও শুরু হয়েছে।