আজ রাতে সারা দেশে চালু হবে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট: পলক
ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, বুধবার থেকে সারাদেশে পরীক্ষামূলকভাবে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবা চালু করা হবে। আজ বিকেলে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন রেগুলেটরি কমিশন (বিটিআরসি) ভবনে ইন্টারন্যাশনাল ইন্টারনেট গেটওয়ে (আইআইজি) অপারেটরদের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ তথ্য জানান।
প্রতিমন্ত্রীর এ ঘোষণার পর সন্ধ্যায় রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবা চালু হয়েছে।
মোবাইল ডাটা চালুর বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, আগামী শুক্রবার বা শনিবার মোবাইল অপারেটরদের সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন অব মোবাইল টেলিকম অপারেটরস অব বাংলাদেশের (অ্যামটব) সঙ্গে বৈঠকে বসার চেষ্টা চলছে। রবিবার বা সোমবারের মধ্যে মোবাইল ডেটা চালু করতে।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম প্রসঙ্গে জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, ফেসবুক, ইউটিউব ও টিকটকের কোনো জবাবদিহিতা নেই। তারা বিভিন্ন দেশে ভিন্নভাবে আচরণ করে। তারা বুস্টিংয়ের মাধ্যমে বাংলাদেশে ব্যবসা করছে, কিন্তু দেশের নিয়ম মানছে না। তাদের বাংলাদেশের নিয়ম মানার চিঠি দেবে সরকার। এসব প্রতিষ্ঠানকে এর জবাব দিতে বলা হবে।
ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধের কারণে দেশের অনলাইন ব্যবসা ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে জুনাইদ আহমেদ এফ-কমার্স (ফেসবুক) উদ্যোক্তাদের তাদের নিজস্ব ওয়েবসাইট শক্তিশালী করার পরামর্শ দেন। তিনি বলেন, যারা ফেসবুকভিত্তিক ব্যবসা করছেন, তাদের খুব দ্রুত নিজস্ব প্লাটফর্ম তৈরি করা উচিত।
ফেসবুকের বিকল্প মাধ্যম গড়ে তোলার পরামর্শ দিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ একটি বড় বাজার। 13 কোটি ইন্টারনেট ব্যবহারকারী রয়েছে। তাই তিনি উদ্যোক্তাদের নতুন সোশ্যাল মিডিয়া তৈরির চ্যালেঞ্জ গ্রহণের অনুরোধ জানান।
সীমান্ত এলাকা থেকে অনলাইনে কতজন সরকার বিরোধী ভিডিও আপলোড করছে এমন এক সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী দেশবিরোধী উসকানিতে বিভ্রান্ত না হওয়ার আহ্বান জানান।
এদিকে, গ্রামীণফোনের মালিক টেলিনর এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, বাংলাদেশে স্থানীয় কর্তৃপক্ষের নির্দেশে মোবাইল ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করা হয়েছে। 20 জুলাই দেওয়া বিবৃতিতে টেলিনর এশিয়া বলেছে যে গ্রামীণফোন তাদের বলেছে যে কর্তৃপক্ষ 17 জুলাই বাংলাদেশে 3G এবং 4G ইন্টারনেট বন্ধ করার নির্দেশ দিয়েছে।
বাংলাদেশে কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে বিক্ষোভ ও পরবর্তী সংঘর্ষের মধ্যে ১৭ জুলাই রাতে মোবাইল ইন্টারনেট এবং ১৮ জুলাই রাতে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট বন্ধ করে দেওয়া হয়। পাঁচ দিন পর মঙ্গলবার রাতে দেশে সীমিত পরিসরে ব্রডব্যান্ড সেবা চালু হয়েছে। কিন্তু সব সাধারণ মানুষ এটি ব্যবহার করতে পারে না। ইন্টারনেট উপলব্ধ ছিল কিন্তু গতি ছিল খুবই ধীর।