30 কার্যদিবসের সময়সীমা নির্ধারণ করে প্রোগ্রাম প্রত্যাহার
30 কার্যদিবসের সময়সীমা নির্ধারণ করে কর্মসূচি বাতিল করা বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অংশ। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের একাংশ আট দফা দাবি ও ৩০ কর্মদিবস সীমিত করে সব কর্মসূচি প্রত্যাহারের ঘোষণা দিয়েছে। বৃহস্পতিবার বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে এক সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনের পাঁচ নেতা এ ঘোষণা দেন।
মোকারম হোসেন সংবাদ সম্মেলনে দাবিগুলো তুলে ধরেন। সুজন কুমার ভৌমিক, রেজওয়ান গাজী মহারাজ, তোফায়েল আহমেদ ও মমিনুল হক উপস্থিত ছিলেন। দাবিগুলো হলো, কোটা সংস্কার আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী নিরীহ শিক্ষার্থীদের মামলা প্রত্যাহার, কারফিউ প্রত্যাহার, ইন্টারনেট চালু, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, বিশ্ববিদ্যালয় চালু, ক্যাম্পাস থেকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী অপসারণ, ক্ষতিপূরণ। শহীদ ও ক্ষতিগ্রস্ত শিক্ষার্থীদের পরিবার এবং বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন। নিহতের ঘটনার সুষ্ঠু বিচারের ব্যবস্থা করা।
মোকারম হোসেন বলেন, আমরা দেখতে পাচ্ছি সরকার ধীরে ধীরে আমাদের দাবি মেনে নিচ্ছে। তৃতীয় কোনো পক্ষ যাতে অহিংস আন্দোলনকে সহিংস আন্দোলনে পরিণত করতে না পারে এবং রাষ্ট্রীয় সম্পদ নষ্ট করতে না পারে সেজন্য আমরা রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সকল কর্মসূচি প্রত্যাহার করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। তবে সরকার ও প্রশাসন ৩০ কার্যদিবসের মধ্যে আট দফা দাবি না মানলে আমরা আবার আন্দোলন শুরু করব।
কারও ভয়ে এমন কর্মসূচি দেওয়া হচ্ছে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে সুজন কুমার ভৌমিক বলেন, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের কোনো সুনির্দিষ্ট সমন্বয় কমিটি ছিল না। আমরা সাধারণ শিক্ষার্থীরা আন্দোলনে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কোটা সংস্কার আন্দোলনে নেমেছি। আমাদের এক দফা দাবি পূরণ করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে সরকার। আশা করছি, বাকি দাবিগুলোও পূরণ হবে। আমরা দেখেছি, এই কোটা সংস্কার আন্দোলনে অনেকের রক্ত ঝরেছে। আর কোনো মায়ের বুক যাতে খালি না হয়, আমরা ৩০ কার্যদিবসের আল্টিমেটাম দিয়ে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন কর্মসূচি প্রত্যাহার করছি।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘কোটা সংস্কার আন্দোলন’-এর ব্যানারে শিক্ষার্থীরা শুরুতে বিক্ষোভ করছিল। ১১ জুলাই ছাত্রদের একাংশ কমিটিকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করে। তাদের অভিযোগ, সমন্বয় কমিটি সারা দেশের সঙ্গে সমন্বয় করতে ব্যর্থ হয়েছে। এরপর থেকে ‘বৈষম্যের বিরুদ্ধে ছাত্র আন্দোলন’ ব্যানারে পালিত হচ্ছে সব কর্মসূচি। আজকের সংবাদ সম্মেলনে তোফায়েল আহমেদ ও সুজন কুমার ভৌমিক উপস্থিত ছিলেন যারা ‘কোটা সংস্কার আন্দোলন’ কমিটিকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেন। রেজওয়ান গাজী মহারাজ অবাঞ্ছিত কোটা পদ্ধতি সংস্কার আন্দোলন কমিটির অন্যতম সমন্বয়ক ছিলেন। গত ১৭ জুলাই হল ভাংচুর ও মোটরসাইকেল পোড়ানোর ঘটনায় ছাত্রলীগের বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক কাইয়ুম মিয়ার দায়ের করা মামলায় তোফায়েল আহমেদ ও মমিনুল হকের নাম রয়েছে।