রমনার এডিসি হারুনের বহিষ্কার আদেশ প্রত্যাহার
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) রমনা জোনের সাবেক অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (এডিসি) হারুন-অর-রশিদের বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করা হয়েছে। থানায় তিন ছাত্রলীগ নেতাকে মারধরের ঘটনায় তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। গত ১৬ জুলাই স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক প্রজ্ঞাপনে তার বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারের ঘোষণা দেওয়া হয়।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, পুলিশ অধিদপ্তরের চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে রংপুর রেঞ্জ ডিআইজির কার্যালয়ে সংযুক্ত অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হারুন-অর-রশিদের সাময়িক বরখাস্তের আদেশ প্রত্যাহার করা হয়েছে।
গত বছরের ৯ সেপ্টেম্বর রাতে শাহবাগ থানায় ছাত্রলীগের দুই কেন্দ্রীয় নেতা ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক নেতাকে বেধড়ক মারধর করা হয়। তীব্র সমালোচনার মুখে এডিসি হারুনকে ১১ সেপ্টেম্বর সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয় এবং ১২ সেপ্টেম্বর রংপুর রেঞ্জে সংযুক্ত করা হয়।
গত ৯ সেপ্টেম্বর এডিসি হারুন অর রশিদের সঙ্গে পুলিশের রমনা বিভাগের এডিসি (এপিএস) আজিজুল হকের দ্বন্দ্বের জেরে তিন ছাত্রলীগ নেতাকে থানায় এনে মারধর করা হয়।
ভুক্তভোগীরা জানায়, শাহবাগ থানার ওসি (তদন্ত) কক্ষে মারধরের নেতৃত্ব দেন এডিসি হারুন। কিন্তু ঘটনার সূত্রপাত বারডেম হাসপাতালে। এ নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে মারধর ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। পরে ছাত্রলীগ নেতাদের মারধরের ঘটনা ঘটে।
রাষ্ট্রপতির এপিএস আজিজুল ও এডিসি হারুনের মধ্যে ব্যক্তিগত বিরোধ ঘটনার কারণ হিসেবে সামনে আসে। সেই দ্বন্দ্ব আজিজুলের স্ত্রী সানজিদাকে কেন্দ্র করে। প্রশাসন ক্যাডারের আজিজুল ও পুলিশের এডিসি হারুন দুজনেই ৩১তম বিসিএস পাস করে সরকারি চাকরিতে যোগ দেন।
এ ঘটনার পর এডিসি হারুনকে সাময়িক বরখাস্ত করে পুলিশ বিভাগে সংযুক্ত করা হয়। এরপর তাকে রংপুর রেঞ্জের উপ-মহাপরিদর্শক (ডিআইজি) কার্যালয়ে সংযুক্ত করা হয়। এ ঘটনায় শাহবাগ থানার পরিদর্শক (অপারেশন) গোলাম মোস্তফাকেও দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।