বাংলাদেশ পাকিস্তান টেস্ট সিরিজ, ৬ পেসারের রোমাঞ্চ শান মাসুদের
বাংলাদেশের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজে পাকিস্তান দলে আছেন ৬ পেসার। আর মাত্র একজন স্বীকৃত স্পিনার। বোঝাই যাচ্ছে টেস্ট সিরিজে গতি নিয়ে বাংলাদেশকে ধ্বংস করতে চায় পাকিস্তান।
পাকিস্তানের টেস্ট অধিনায়ক শান মাসুদও এই ৬ পেসারের সামর্থ্য নিয়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন। পিসিবি পডকাস্টে, পাকিস্তান অধিনায়ক দাবি করেছেন যে ৬ পেসারের মধ্যে যারাই একাদশে আছেন, তাদের 20 উইকেট নেওয়ার ক্ষমতা রয়েছে।
বাংলাদেশের বিপক্ষে দুই টেস্টের জন্য ঘোষিত পাকিস্তান দলে শাহীন শাহ আফ্রিদি, আমের জামাল, খুররম শাহজাদ, মীর হামজা, মোহাম্মদ আলী এবং নাসিম শাহ রয়েছেন। মাসুদ বিশ্বাস করেন যে তাদের প্রত্যেকের আলাদা আলাদা শক্তি রয়েছে। পাকিস্তান অধিনায়ক বলেন, ‘এই স্কোয়াডের রোমাঞ্চকর বিষয় হল আমাদের ৬ জন দুর্দান্ত পেস বোলার রয়েছে। ৬ জনই দলে জায়গা দাবি করতে পারে, প্রত্যেকেরই আলাদা কিছু আছে।’
আরও পড়ুন: সারজিস বলেন ৩২ নম্বরে বিবস্ত্র করা থেকে গায়ে হাত তোলার মানেইতো মানবাধিকার লঙ্ঘন
এরপর মাসুদ যোগ করেন, ‘খুররম শাহজাদ, মীর হামজা, মোহাম্মদ আলী বা আমের জামাল বা শাহীন শাহ আফ্রিদি, নাসিম শাহ বা অন্য যে কেউই আসবেন, আমরা সবাই আত্মবিশ্বাসী যে তারা পাকিস্তানকে হারাতে পারবে, ২০ উইকেট নিতে পারবে।’
বাংলাদেশ সিরিজে আফ্রিদিকে বিশ্রাম দেওয়া হতে পারে বলে গুঞ্জন ছিল। পাকিস্তান টেস্ট দলের কোচ জেসন গিলেস্পিও আফ্রিদিকে বিশ্রাম দেওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছেন। তবে শেষ পর্যন্ত আফ্রিদিকে দলে রাখা হয়েছে। তবে দুই টেস্টের কোনোটিতেই আফ্রিদির না খেলার সম্ভাবনা প্রবল।
আরও পড়ুন: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এম সাখাওয়াত, উপদেষ্টাদের দায়িত্বে বড় পরিবর্তন
মাসুদও ইঙ্গিত দিয়েছেন, ‘পেসারদের কাজের চাপ নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। যেমনটা হয়েছিল অস্ট্রেলিয়ায় শাহীন আফ্রিদির সঙ্গে। সেই সিরিজে আফ্রিদি টানা দুটি টেস্ট খেলেছিলেন, এরপর তাকে তৃতীয় টেস্টে বিশ্রাম দেওয়া হয়েছিল। কারণ, সামনে তার কঠিন শিডিউল ছিল। এইভাবে আমরা এটি করার চেষ্টা করব।
এই বছরের ২১শে আগস্ট থেকে পরের বছরের ৫ এপ্রিলের মধ্যে পাকিস্তান খেলবে ৯টি টেস্ট, ১৪টি টি-টোয়েন্টি এবং ১৭ টি ওয়ানডে। যে কারণে পেসারদের প্রচেষ্টা নিয়ন্ত্রণ করা স্বাভাবিকভাবেই পাকিস্তানের জন্য গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে।
সামর্থ্য থাকলেও এই ৬ পাকিস্তানি পেসারের কারোরই সে অর্থে তেমন অভিজ্ঞতা নেই। তাদের মধ্যে আফ্রিদি সবচেয়ে বেশি ২৯টি টেস্ট খেলেছেন। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১৭টি টেস্ট খেলেছেন নাসিম শাহ। আর ১০ টেস্ট খেলার অভিজ্ঞতা নেই কারও। তারপরও এই পেস আক্রমণে রোমাঞ্চের কমতি নেই মাসুদের।