কুয়েত প্রবাসীদের ৮টি দাবি অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে
বন্ধন প্রবাসী কল্যাণ সমিতির সভাপতি নুরুল আমিন বকস বলেন, সরকার প্রবাসীদের মরদেহ বহন করলে প্রবাসীরা উপকৃত হবে। যেমন অনেক প্রবাসী আছেন যাদের মৃত্যুর পর টিকিটের জন্য টাকা দিতে হয়। নইলে দেশ থেকে জমি থাকলে লাশ বিক্রি করে দেশে নিয়ে যেতে হয়। অনেক প্রবাসীর লাশ দিনের পর দিন ফ্রিজারে পড়ে থাকে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের এনজিও সংস্থাগুলো বিনা শর্তে উচ্চ মুনাফায় প্রবাসীদের ঋণ দিচ্ছে। প্রতি লক্ষে প্রতি মাসে 10,000 টাকা। এনজিও লাভবান হলেও প্রবাসীরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আমাদের প্রবাসী ব্যাংকগুলো শর্তহীনভাবে ঋণ দিলে প্রবাসীরা উপকৃত হবেন। আমরা চাই প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক আমাদের সুদমুক্ত ঋণ দেবে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ পাকিস্তান টেস্ট সিরিজ, ৬ পেসারের রোমাঞ্চ শান মাসুদের
বাংলাদেশ প্রবাসী অধিকার পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক রবিউল হক বলেন, আমাদের প্রবাসীদের বড় সমস্যা অভিবাসন ব্যয়। প্রতিবেশী দেশগুলো থেকে বিদেশে আসতে প্রায় ছয়গুণ বেশি টাকা দিতে হয়। বাংলাদেশ সরকার এবং আমাদের দূতাবাস চাইলে কূটনৈতিক সম্পর্কের মাধ্যমে আমাদের অভিবাসন খরচ কমাতে পারে। দেখা যাচ্ছে যে ভিসা ব্যবসার সাথে জড়িতরা ভিসার দাম বৃদ্ধির জন্য অনেকাংশে দায়ী।
তিনি বলেন, স্বল্প খরচে বিদেশে আসতে পারলে প্রবাসীরা বাড়তি চাপ থেকে মুক্ত হবেন। এর ফলে বাংলাদেশে বেশি বেশি রেমিটেন্স পাঠানো যাবে। শেখ হাসিনার আমাদের রেমিটেন্সে ৫ শতাংশ প্রণোদনা দেওয়ার কথা থাকলেও তিনি তা দেননি। তাই আমাদের পাঠানো রেমিট্যান্সে ৫ শতাংশ প্রণোদনা দেওয়ার জন্য সরকারের কাছে অনুরোধ করছি।