ফুসফুসের কার্যক্ষমতা বাড়াতে এসব ফল খাবেন
অনেকেই শ্বাসকষ্টে ভুগছেন। তবে চিন্তা করবেন না, নিয়মিত কয়েকটি ফল খেলে সহজেই ফুসফুসের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। ফলে অনেক সমস্যা এড়ানো যাবে। জেনে নিন তেমনই কিছু ফল সম্পর্কে। যা নিয়মিত খেলে ফুসফুসের কর্মক্ষমতা বাড়বে।
অ্যাভোকাডোর নেই তুলনা:
সেরা ফলগুলির মধ্যে একটি হল অ্যাভোকাডো। এটি অসম্পৃক্ত চর্বি সমৃদ্ধ। আর এই উপাদানটি শরীরে প্রদাহ কমায়। ফলে ফুসফুসের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। শ্বাসকষ্টের মতো সমস্যায় যোগাযোগ করা যায় না।
কিন্তু এখানেই শেষ নয়, এই ফলটি সব উপকারী ভিটামিন ও মিনারেলের ভাণ্ডার। আর এ কারণে অ্যাভোকাডো খেলে শরীরের পুষ্টির ঘাটতিও এক ঝটকায় মেটে। তাই নিয়মিত এই ফল খাওয়ার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা।
আনারসের শরণাপন্ন হন:
বর্ষা চলছে। তবে বাজারে এখনো আনারস পাওয়া যায়। আর এমন সুবর্ণ সুযোগ কাজে লাগিয়ে এই ফলটি কিনুন। তারপর পরিবার হিসাবে খাবেন। যা ফুসফুসের স্বাস্থ্য ফিরিয়ে আনবে। আসলে এই ফলটিতে কিছু উপকারী খনিজ উপাদান রয়েছে। এবং এই খনিজগুলি ফুসফুসের স্বাস্থ্য পুনরুদ্ধারের জন্য উপযুক্ত। শুধু তাই নয়, এতে সঞ্চিত ভিটামিনের কারণে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে। শরীরের অনেক অঙ্গই সুস্থ থাকে। তাই সময় নষ্ট না করে নিয়মিত আনারস খাওয়া শুরু করুন।
কলার জুড়ি মেলা ভার:
স্বল্পমূল্যের এই ফলটির পুষ্টিগুণ সবচেয়ে ভালো। এটি পটাশিয়াম সমৃদ্ধ। এমনকি এতে বেশ খানিকটা ফাইবারও থাকে। আর মূলত এই দুটি উপাদান ফুসফুসের জন্য খুবই উপকারী। ফলে কলা খেলে শ্বাসকষ্টের ফাঁদে পড়ার আশঙ্কা কমে। শুধু তাই নয়, নিয়মিত এই ফল খেলে পেট সুস্থ থাকে। সেই সঙ্গে এক ঝটকায় শরীরে শক্তির ঘাটতি পূরণ করা সম্ভব। তাই আপনার প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় অবশ্যই কলা অন্তর্ভুক্ত করুন।
সেরার সেরা আপেল:
কথিত আছে যে প্রতিদিন একটি আপেল খেলে বেশ কিছু রোগের ফাঁদ এড়ানো সম্ভব। এবং এটি একবারে সত্য। কারণ, এতে রয়েছে অত্যন্ত উপকারী সব ভিটামিন, মিনারেল এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। এবং এই উপাদানগুলি সরাসরি স্বাস্থ্য পুনরুদ্ধার করে। শুধু তাই নয়, এতে মজুত কোয়ারসেটিন নামক অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের কারণে ফুসফুসের কর্মক্ষমতাও বৃদ্ধি পায়! তাই আর সময় নষ্ট না করে আজ থেকেই আপেল খাওয়া শুরু করুন। তাতেই উপকার হবে।
আঙুর খেতে ভুলবেন না:
আমাদের প্রিয় আঙুর ফুসফুসের জন্য খুবই উপকারী। এতে সঞ্চিত অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এই অঙ্গ থেকে ক্ষতিকর পদার্থ দূর করে। ফলে ফুসফুস ঠিকমতো কাজ করে। তাই আপনি চাইলে এই ফলটি নিয়মিত খেতে পারেন। কিন্তু ডায়াবেটিস রোগীদের প্রতিদিন এই ফল খাওয়া উচিত নয়। এই ভুল করলে লাভ হবে না, উল্টো শরীরের ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা বাড়বে।