খাগড়াছড়িতে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি : মেরুং ও কবাখালী ইউনিয়নের ৩০টি গ্রাম পানিতে তলিয়ে গেছে।
খাগড়াছড়ি, 22 আগস্ট, 2024 (বাসস): টানা ভারী বর্ষণ ও ভূমিধসে জেলার বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়েছে। গতকাল রাত থেকে বৃষ্টি অব্যাহত রয়েছে। এতে চেঙ্গী নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে খাগড়াছড়ি সদর ও পৌরসভার বিভিন্ন এলাকায় পানি প্রবেশ করেছে। নগরীর বিভিন্ন সড়কে পানি উঠেছে। চেঙ্গী নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় পানছড়ির বহু মানুষ পানিতে আটকা পড়েছে। অন্যদিকে মাটিরাঙ্গা, রামগড়, দীঘিনালার অনেক গ্রাম ভূমিধসের কারণে জলাবদ্ধ হয়ে পড়েছে। এর মধ্যে মেরুং ও কবাখালী ইউনিয়নের ৩০টি গ্রাম বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে। বর্মন জেলার লক্ষাধিক মানুষ জলাবদ্ধতার কবলে পড়েছে।
টানা বর্ষণ ও ভূমিধসে মাইনী ও কাচালং নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় খাগড়াছড়ি-সাজেক সড়কের বেশ কিছু অংশ তলিয়ে গেছে। গতকাল বিকেল থেকে কবাখালী, বাঘাইহাট বাজার, মাচালং বাজারসহ সাজেক রোডের বেশ কিছু অংশ ৫ থেকে ৬ ফুট পানিতে তলিয়ে গেছে। সড়কে পর্যটকবাহী যানবাহনসহ সব ধরনের যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। সড়ক তলিয়ে যাওয়ায় সাজেকে আটকা পড়েছে অন্তত আড়াই শতাধিক পর্যটক।
এদিকে রাস্তা ডুবে যাওয়ায় পানছড়ি ও মহালছড়ি ও রাঙামাটির সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। বন্যার্তদের উদ্ধার অভিযানে খাগড়াছড়ি সদরে সেনাবাহিনীসহ বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা কাজ করছে। খাগড়াছড়ি পৌর প্রশাসক নাজমুন আরা সুলতানা বলেন, “বন্যা দুর্গতদের জন্য ১২ মেট্রিক টন খাদ্যশস্য বরাদ্দ করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই ২৫৫০ প্যাকেট শুকনো খাবার বিতরণ করা হয়েছে। খাগড়াছড়িতে গত ২৪ ঘণ্টায় ৯৫ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।”