ড. মুহাম্মদ ইউনুস সাহেব এর লিভ টু আপিলের শুনানি সোমবার
মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইনের কার্যক্রম বাতিলের আবেদন খারিজ করে হাইকোর্টের দেওয়া আদেশের বিরুদ্ধে নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ গ্রামীণ টেলিকমের সাত কর্মকর্তার লিভ টু আপিল শুনানি সোমবার অনুষ্ঠিত হবে।
প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগ আজ শুনানির এই তারিখ ধার্য করে এ আদেশ দেন।
মুহাম্মদ ইউনূসের পক্ষে আদালতে হাজির হন ব্যারিস্টার আবদুল্লাহ-আল-মামুন। আসাদুজ্জামান রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আর দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী একেএম ফজলুল হক।
আরও পড়ুন: ড. ইউনূস কানাডাকে বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানালেন
ড. মুহাম্মদ ইউনূস ছাড়াও অন্য ছয় আপিলকারী হলেন- গ্রামীণ টেলিকমের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নাজমুল ইসলাম, পরিচালক আশরাফুল হাসান, নাজনীন সুলতানা, শাহজাহান, নূরজাহান বেগম এবং এসএম হাজ্জাতুল ইসলাম লতিফী।
নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কাজী ইবাদত হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট ডিভিশন বেঞ্চ গত ২৪ জুলাই এ মামলার কার্যক্রম স্থগিত চেয়ে করা আবেদন খারিজ করে দেন বিচারপতি মো. একই সঙ্গে এক বছরের মধ্যে এ মামলার বিচার শেষ করতে ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪-কে নির্দেশ দেওয়া হয়।
গত বছরের ৩০ মে প্রধান বাদী হয়ে মামলাটি করেন দুদকের উপ-পরিচালক গুলশান আনোয়ার। তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়, আসামিরা ২৫ কোটি ২২ লাখ টাকা আত্মসাৎ করেছেন। অবৈধভাবে অর্থ স্থানান্তর, যা মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইনের অধীনে একটি অপরাধ। গত ১২ জুন মোহাম্মদ ইউনূসসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে এ মামলায় অভিযোগ গঠন করেন ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪-এর বিচারক ড. 15 জুলাই সাক্ষ্য গ্রহণের তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে। একপর্যায়ে হাইকোর্টে অভিযোগ গঠনের আদেশকে প্রশ্নবিদ্ধ করে মামলার কার্যক্রম বাতিল করতে বলেন ড. ইউনূসসহ গ্রামীণ টেলিকমের শীর্ষ সাত কর্মকর্তা। এই আবেদন গত ২৪ জুলাই হাইকোর্ট খারিজ করে দেয়।
বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন, গণতন্ত্রপন্থী রাজনৈতিক দল, বিপ্লব ও বিভিন্ন পেশা ও সাধারণ মানুষের গণঅভ্যুত্থানের কারণে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে পালিয়ে যান। পরে বিগত সরকার ও সংসদ বিলুপ্ত করা হয়। গত ৯ আগস্ট অন্তর্বর্তীকালীন সরকার শপথ নেন। শিক্ষার্থীদের আহ্বানে সাড়া দিয়ে নোবেল বিজয়ী অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তার বিরুদ্ধে বিগত আওয়ামী লীগ সরকার একাধিক মামলা করেছিল।
ড. ইউনূসের আইনজীবী ব্যারিস্টার আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, বিশ্ব অভিজাত ব্যক্তিত্ব জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের একজন, মুহাম্মদ ইউনূসকে প্রতিহিংসা চরিতার্থ করার অভিপ্রায়ে এসব মামলা করা হয়েছে নোবেল বিজয়ী অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক ড. আমরাও তখন ন্যায়বিচার থেকে বঞ্চিত ছিলাম।