প্ভিউ ইটিসি  | বাংলা নিউজ পেপার
মঙ্গলবার , ২০ আগস্ট ২০২৪ | ৮ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. অপরাধ
  2. আন্তর্জাতিক
  3. আন্দোলন
  4. আরব নিউজ
  5. ইসলাম
  6. ক্রিকেট
  7. খেলাধুলা
  8. চাকরি
  9. জয়পুরহাট
  10. জাতীয়
  11. জেলার খবর
  12. তথ্যপ্রযুক্তি
  13. পরামর্শ
  14. প্রবাস
  15. ফুটবল

শেখ সেলিম নিপুণকে জেতার জন্য ১৭ বার ফোন করেন

প্রতিবেদক
ভিউ ইটিসি
আগস্ট ২০, ২০২৪ ১১:৪৬ পূর্বাহ্ণ
শেখ সেলিম নিপুণকে জেতার জন্য ১৭ বার ফোন করেন

শেখ সেলিম নিপুণকে জেতার জন্য ১৭ বার ফোন করেন

চলচ্চিত্র অভিনেত্রী নিপুণ আক্তারের বিরুদ্ধে চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচনে রাজনৈতিক প্রভাব বিস্তারের অভিযোগ উঠেছে। বিশেষ করে ২০২২ সালে চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচন নিয়েও জল কম ছিল না। সভাপতি পদে ইলিয়াস কাঞ্চন এবং সাধারণ সম্পাদক পদে জায়েদ খান জয়ী হয়েছেন। কিন্তু পরাজিত প্রার্থী নিপুণ আক্তার এ ফলাফল মেনে নেননি।

পরে আদালতের নির্দেশে তিনি শিল্পী সমিতির চেয়ারে বসেন। শিল্পী সমিতিতে নিপুণের প্রভাবের পেছনে একজন রাজনীতিকের সরাসরি প্রভাব ছিল বলে জানা গেছে। সে সময় ভয়ে মুখ না খুললেও ওই সময় দায়িত্ব পালনরত নির্বাচন কমিশনারদের বিরুদ্ধে শিল্পী সমিতির নির্বাচনে রাজনৈতিক হস্তক্ষেপের অভিযোগ প্রকাশ্যে আসে।

সূত্র জানায়, নির্বাচনের ফলাফলের রাতটি ছিল নির্বাচন কমিশনারদের জন্য এক ভয়াবহ পরীক্ষার রাত। ফল গণনার শুরু থেকেই একের পর এক হুমকি আসতে থাকে। ফলাফল ঘোষণার প্রাক্কালে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। কারণ নির্বাচনে জায়েদ খানের পিছিয়ে পড়েছেন নিপুণ। এরপর থেকে একের পর এক ভয় দেখিয়েছেন ক্ষমতাসীন রাজনীতিকরা।

প্রধান নির্বাচন কমিশনারের দায়িত্ব পালন করা পীরজাদা হারুন জানান, শিল্পী সমিতির নির্বাচনে তিনি পাঁচবার কমিশনারের দায়িত্ব পালন করেছেন। তার বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ ছিল না। কিন্তু ২০২২ সালের নির্বাচন তার উপর চাপ সৃষ্টি করে, যা তাকে এখনও মানসিকভাবে তাড়িত করে।

হারুন বলেন, “নির্বাচনে বিশেষজ্ঞকে বিজয়ী করতে বহুদূর থেকে একজন ক্ষমতাধর রাজনীতিবিদ একের পর এক ফোন করে আসছেন। বলা যেতে পারে, সে সময়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়সহ প্রায় সব মন্ত্রণালয়কে তিনি সরাসরি প্রভাবিত ও নিয়ন্ত্রণ করতেন। নানাভাবে ম্যানেজ করার চেষ্টা করে, কিন্তু এর আগে আমি যখন উপজেলা নির্বাহী অফিসার ছিলাম, তখন তিনি একবার উপজেলা নির্বাচনে আমাকে ম্যানেজ করার চেষ্টা করেছিলেন আমাকে কেনা যাচ্ছে না বলেই বারবার সরকারি চাকরিতে অবনমন করা হয়েছে।

আরও পড়ুন: আমার সঙ্গী এবং আমি বছরে মাত্র তিনবার সহবাস করি এবং আমি হতাশ

হারুন বলেন, এরপর একের পর এক ফোনে হুমকি দেওয়া হয় আমাকে তুলে নিয়ে যাওয়া হবে। আমি এখন যা শুনছি তার মতো একটি আয়না শুনলে সত্যি বলতে পারতাম না। এমনই ভয় দেখানো হয়েছিল। পরে মোটা অংকের টাকা রাখা হয় এমন জায়গায় যেতে বলে। আমি রাজি না হলে রেজাল্ট নিয়ে মামলা করা হয়। এটা আদালতে গেছে। তাকে নানাভাবে হয়রানি করা হয়। আমাকে অন্য রাজনৈতিক দলের সদস্য করা হয়েছে। বিভিন্ন মামলায় আমাকে হেয় করা হয়েছে, আমাকে এফডিসি থেকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

ওই বছরের ২৮ জানুয়ারি বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির দ্বিবার্ষিক নির্বাচনে সাধারণ সম্পাদক পদে অভিনেতা জায়েদ খানের কাছে ১৩ ভোটে পরাজিত হন অভিনেত্রী নিপুণ আক্তার। ফলাফলে অসন্তুষ্ট হয়ে পুনগণনার আবেদন করেন নিপুণ। কিন্তু আপিল কমিটি সেখানেও একই ফল পেয়েছে।

আরও পড়ুন: থাইল্যান্ডের নতুন প্রধানমন্ত্রী হলেন থাকসিনের মেয়ে পায়েংটার্ন সিনাওয়াত্রা

শিল্পী সমিতির নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে সম্পৃক্ত আরেক ব্যক্তি বলেন, এমন আতঙ্ক হবে ভাবলে তিনি দায়িত্ব পালন করতেন না। কারণ জীবনের হুমকি ছিল। যে কোনো সময় তাকে তুলে নিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা ছিল। ভয়ে সে সেগুলো প্রকাশ করেনি। তারা বিষয়টি প্রধান নির্বাচন কমিশনারের ওপর ছেড়ে দেন। নাম প্রকাশ না করার শর্তে তিনি বলেন, আমাদের নির্বাচন কমিশনারদের একের পর এক হুমকি ও গালিগালাজ করা হচ্ছে। বলা হচ্ছে পুলিশ তুলে নেবে। এমন লেভেল থেকে ফোন আসবে ভাবতেও পারিনি। সে সময় শেখ সেলিম সাহেব আমাদের একজনকে নিপুনকে জেতাতে ১৭ বার ফোন করেছিলেন, মানুষ তাকে পছন্দ করে। এটা আমাদের অবাক করেছে।’
পরে ঘটনাটি মামলায় রূপ নেয়। আদালতের রায় নিয়ে শিল্পী সমিতির চেয়ারে বসতে পারদর্শী। তিনি পুরো সময় সেবা করেছেন।

দুই বছর পর ২০২৪-২৬ সালের ১৯ এপ্রিল নির্বাচন হয়, সেই নির্বাচনে হেরে যান নিপুণ। এতে সভাপতি পদে মিশা সওদাগর এবং সাধারণ সম্পাদক পদে ডিপজল নির্বাচিত হন। সেদিন রাতে বিজয়ীদের হাতে ফুলের মালা দেন নিপুন। কিন্তু ২৫ দিন পর সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করে নির্বাচিত সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ পুরো কমিটির কার্যক্রম স্থগিত চেয়ে হাইকোর্টে রিট করেন নিপুন। কিন্তু বেশি সুবিধা করতে পারেননি।
নির্বাচনে হেরে গেলেও কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময় শিল্পী সমিতির প্যাড ব্যবহার করেন কোটা। ছবি: ফেসবুক

নির্বাচনে হেরে গেলেও গত জুলাইয়ে কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময় শিল্পী সমিতির প্যাড ব্যবহার করে বক্তব্য দেন নিপুণ। এরপর তিনি বর্তমান কমিটির নির্বাচিত সদস্যদের সমালোচনার মুখে পড়েন, যা তিনি সাংগঠনিক নিয়ম অনুযায়ী করতে পারেন না। তার বিবৃতিতে বলা হয়, ‘যারা মুক্তিযোদ্ধাদের অসম্মান করছে এবং কোটা আন্দোলন জারি করে রাজাকার প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করছে তাদের আমি তীব্র নিন্দা, ঘৃণা ও প্রতিবাদ জানাই। মনে রেখো… “তুমি কে? আমি কে বাঙ্গালী, বাঙ্গালী” বাঙ্গালী জাতির গর্বিত স্লোগান। জয় বাংলা।’ এই বক্তব্য দিয়ে শিল্পীরা প্রশ্ন তুলেছেন নিপুণের বিরুদ্ধে।

শেখ ফজলুল করিম সেলিম নিপুনের সাথে কিভাবে দেখা করলেন? আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য শেখ সেলিম। এটা

সর্বশেষ - ক্রিকেট