শিল্পীদের প্রতিবাদের ভাষাও হতে হবে শৈল্পিক: মেহজাবীন
বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শুরু থেকেই জনপ্রিয় অভিনয়শিল্পী মেহজাবীনকে ফেসবুকে শিক্ষার্থীদের সমর্থন করতে দেখা যায়। পরে তিনিও অন্যান্য শিল্পীদের নিয়ে রাজপথে দাঁড়িয়ে এই হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদ করেন।
বাংলাদেশের ইতিহাসকে নতুন মোড় নিয়ে আসা এই আন্দোলন নিয়ে মেহজাবীন ডেইলি স্টারকে বলেন, ‘দেশ আবার স্বাধীন হয়েছে। ছাত্রদের বিজয় দিবসে আমিও বাড়ি থেকে বের হয়েছিলাম। আমি নিজে বেরিয়ে সবার আনন্দ দেখলাম। জীবনে এমন ঘটনা দেখে খুব ভালো লাগে।’
আন্দোলনের সময় অনেক শিল্পী ছাত্রদের পক্ষে কথা বলতে ভয় পেলেও মেহজাবীন ছিলেন ব্যতিক্রম। এই অবস্থানে তিনি মন্তব্য করেন, ‘আমি মনে করি মানুষের সবকিছুর ওপর ব্যক্তিগত স্বাধীনতা থাকা দরকার। দিনশেষে অন্যায়ের প্রতিবাদ করতেই হবে। আমিও নিজের মত করে প্রতিবাদ করেছি। আমি ছাত্রদের আন্দোলনকে সমর্থন করেছিলাম। আমি নিজের মত করে প্রতিবাদ করেছি।
এই অভিনয়শিল্পীও মনে করেন, শিল্পীদের নিজস্ব প্রতিবাদের ভাষা থাকা জরুরি। তিনি বলেন, ‘শিল্পীর প্রতিবাদের ভাষাও শৈল্পিক হওয়া দরকার। যে কেউ যেকোনো উপায়ে অন্যায়ের প্রতিবাদ করবে। তাদের সেই সিদ্ধান্ত নেওয়ার স্বাধীনতা দেওয়া উচিত।’
মেহজাবীন তার প্রথম ছবি ‘সাবা’ নিয়েও কথা হয়েছিল। মুক্তির আগেই টরন্টো আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে যাচ্ছে ছবিটি। ছবিটি উৎসবের ডিসকভারি প্রোগ্রামে প্রদর্শনের জন্য মনোনীত হয়েছে। এ বিষয়ে তার প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘খবরটি পেয়ে আমি খুবই খুশি। যারা বিদেশে আছেন, বিশেষ করে কানাডায় যারা আছেন এবং যারা উৎসবে অংশ নেবেন তারা দেখতে পারেন ‘সাবা’ ছবিটি। সেখানে ছবিটির ওয়ার্ল্ড প্রিমিয়ার হবে।
মেহজাবীন আরও বলেন, ‘এটা আমি সত্যিই গর্বিত। কারণ সাবা আমার প্রথম সিনেমা। এই উৎসবে সারা বিশ্বের ২৫টি চলচ্চিত্র প্রদর্শিত হবে। আমার সিনেমাও আছে। আমার জন্য এটা একটা বড় পাওয়া, একটা বড় অর্জন।’
সিনেমায় অভিনয়ের অভিজ্ঞতার কথাও বললেন মেহজাবীন। তিনি বলেন, ‘প্রথম সিনেমায় অভিনয় করার অনুভূতি অন্যরকম। এটি পরিচালক মাকসুদ হোসেনের প্রথম চলচ্চিত্র। আমি আশা করেছিলাম এটি আগে দেশে মুক্তি পাবে। পরিবার-বন্ধু-বন্ধু-ঘনিষ্ঠ মানুষের সঙ্গে দেখব। তবে এখন টরন্টো ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে বিশ্বের অনেক বড় প্রযোজক ছবিটি দেখবেন। এটাও একটা দারুণ ব্যাপার।’
তার প্রথম ছবি নিয়ে প্রত্যাশার প্রসঙ্গও উঠে এসেছে আলাপচারিতায়। মেহজাবীন বলেন, ‘এই সিনেমার বাজেট আকাশছোঁয়া নয়। ভালো গল্পে অভিনয় করার ইচ্ছা ছিল আমার। আমি সেটা করতে পেরেছি। সব শ্রেণির দর্শক সাবা সিনেমার গল্পের সঙ্গে যুক্ত হতে পারবেন। পুরো দল ভালো করেছে। যতটুকু অভিনয় করার সামর্থ্য ছিল ততটুকুই করেছি।’
অবশেষে টরন্টোতে ৫ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হতে যাওয়া দশ দিনব্যাপী চলচ্চিত্র উৎসবে শারীরিকভাবে উপস্থিত থাকার ইচ্ছাও জানা গেল এই গুণী শিল্পীর কাছ থেকে।